ডেস্ক রিপোর্ট:
তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, সুনামগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সাদিকসহ ১২ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান বিএনপির দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, সংবিধান লঙ্ঘন এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির দাবি, গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম, খুন, গণগ্রেপ্তার এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হয়। ফলে এসব নির্বাচন ‘ভোটারবিহীন’ ও ‘নির্বাচনী প্রহসনে’ পরিণত হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা পলাতক আসামিদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়া রোধে আবেদন করলে আদালত বলেন, “মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের বিদেশ গমন বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসএস ইমিগ্রেশন (প্রশাসন) ও এসবিকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।”
যাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে—
১. কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ (সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার)
২. মোহাম্মদ আবু হাফিজ (সাবেক নির্বাচন কমিশনার)
৩. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী
৪. মো. শাহ নেওয়াজ
৫. মো. রফিকুল ইসলাম
৬. কবিতা খানম
৭. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী
৪. ব্রিগে
ডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান
৯. মো. আলমগীর (সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব)
১০. মো. আনিছুর রহমান (সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব)
১১. হেলালুদ্দীন আহমদ (সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব)
১২. মোহাম্মদ সাদিক (সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য, সুনামগঞ্জ-সদর)
গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়, যার মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন তিনজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কয়েকজন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল ব্যক্তি।
মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গসহ বিভিন্ন দণ্ডনীয় ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনের মাধ্যমে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে এই আদেশের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং আদালত তা মঞ্জুর করেন।