স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার শুকদেবপুর গ্রামের মিলন বাজারে প্রকাশ্যে বিকেল বেলায় তিনজন বকাটে দুই ছাত্রীকে স্কুল ও মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার ফেরার সময় পথরুদ্ধ করে অপহরণ,নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টা করেছে।
বৃহস্পতিবার ( ৪ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে শুকদেবপুর দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গন মাঠে, আব্দুল মুকিত উচ্চ বিদ্যালয় ও তেরগ্রাম রামনগর ( টাইটেল) মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর আয়োজনে বিশাল এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, গেল ২৬ আগস্ট দুই স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী মাফুজা আক্তার ও তার বোন মারুফা আক্তার বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পরে বাড়ি ফেরার সময় মিলন বাজারস্থ পপি ফার্মেসিতে ঔষধ কিনতে গেলে, শুকদেবপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫), আজাদ মিয়ার ছেলে সাজল মিয়া (২২), আরিফ উল্লাহর ছেলে জাবির মিয়া (২৪) একত্রিত হয়ে জোরজবস্তি করতে থাকে ঐ দুই ছাত্রীকে ।
এসময় ফার্মেসির মালিক পল্লী চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম বিভিন্নজনকে এ পরিস্থিতি অবগত করলে শরিফ উদ্দিন নামে একজন বাধা দিতে গেলে উনাকে কিল, ঘুসি ও লাথি মারিয়া মাটিতে ফেলে দেয়। পরে ওই দুই শিক্ষার্থী নিজেদের প্রাণ রক্ষাতে চিৎকার চেঁচামি করলেও অনেকেই এদের হাত থেকে রক্ষা করতে কেউ সাহস করে এগিয়ে আসেনি। পরবর্তীতে বকাটেরা জোরপূর্বক ভাবে দুই ছাত্রীকে উঠিয়ে নিয়ে তাদের এক আত্মীয়র বাড়িতে আটক করে বেদরক ভাবে মারপিট করে তাদের গায়ের জামা ছিঁড়ে ফেলে। পরবর্তীতে জামালগঞ্জ থানার পুলিশ রাত আটটায় দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এদিকে বক্তারা বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ওই বকাটেদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি এবং অনেক শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করছেন। এই দুষ্কৃতরা এর আগেও শুকদেবপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাহমুদুল হাসানের উপর নানান মিথ্যা অভিযোগ গুজব রটিয়েছিল। আমরা শিক্ষক, অভিভাবক ও সুশীল সমাজ এই অপরাধীদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানাই।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,সাচনা বাজার ইউপি সদস্য ২ নং ওয়ার্ডের মো: আব্দুল মুকাব্বির। তেরগ্রাম মহিলা টাইটেল মাদ্রাসার সভাপতি মিজানুর রহমান। তেরগ্রাম মহিলা টাইটেল মাদ্রাসার মহতামিম মো: তোফাজ্জল হক। পল্লী চিকিৎসক মো: জাহাঙ্গীর আলম,শুকদেবপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মে: লিয়াকত আলী।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সুলেমান, শরিফ উদ্দিন, মহিম উদ্দিন, রফিক উদ্দিন, সাইদুল আলম, জাকিরুল, জহুর উদ্দিন, আব্দুল ওয়াদুদ, সম্রান,ইয়াকুব আলী, আবু বক্কর, রাসেল, লোকমান হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন, রোকন, আলমগীর, শামসুল রাজু, মমসর সহ প্রায় কয়েক শতাধিক লোকজন।