সেলিম মাহবুব,ছাতক::
ছাতকে মামলার আসামী ধরতে গেলে আসামীসহ তাদের সহযোগীদের কর্তৃক আক্রমণের শিকার হয়েছে পুলিশ। এসময় তাদের আক্রমণে রক্তাক্ত জখম হন দুই পুলিশ সদস্য। আহত পুলিশ সদস্যগন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানা যায়, সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে নিয়মিত মামলার আসামী ধরতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রোমেন মিয়া ছাতক পৌরসভার ঠেংগারগাও গ্রামের পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করেন। পুলিশের উপস্থিতি দেখে ঠেংগারগাও গ্রামের জনৈক জয়নাল এসআই রোমেন মিয়াসহ পুলিশ সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করতে থাকেন।
এসময় এসআই রোমেন মিয়া লাইভ ও বাজে মন্তব্য বিষয়ে জানতে কু-তর্কে জড়িয়ে যান জয়নাল মিয়া। পরে জয়নালের সহযোগী হয়ে আরো কয়েকজন এসে দেশীয় অস্ত্রসহ পুলিশের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় এএসআই সাহাব উদ্দিন ও কনস্টেবল মোস্তাক আহমদ রক্তাক্ত জখম হন। ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান সহ পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ ফোর্স গিয়ে আহতদের উদ্ধারসহ ঘটনাস্থল থেকে জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়। আহত পুলিশের এএসআই সাহাব উদ্দিনকে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মোস্তাক আহমদ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় মঙ্গলবার (২৬আগস্ট) ছাতক থানার এসআই আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে ১২জনের নামোল্লেখসহ ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা (নং ২৩/২৬ ইং)দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসল্ট মামলার আসামী ছাতক পৌরসভার ঠেংগারগাঁও গ্রামের আলতাফ আলীর পুত্র মোঃ সাইমন মিয়া (২২), জয়নুল মিয়া ওরফে জায়নুল মিয়া জাইনুল (৩২), মোঃ আক্তার মিয়া (২৭), মোঃ মিলন মিয়া (২৫) ও আলতাফ আলীর স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫০), নুরুল হকের স্ত্রী বেদেনা বেগম (৫০)কে আটক করে।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মো.সফিকুল ইসলাম খান জানান,আসামীদের গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।