বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সরকার প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (SES) নামে একটি নতুন কাঠামো গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১০টি সুপারিশ বাস্তবায়নে ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। সংস্কারের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)—এই দুই পদবির পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ডিসিকে বলা হবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা কমিশনার, আর ইউএনও হবেন উপজেলা কমিশনার।
নতুন কাঠামো ‘এসইএস’-এর আওতায় উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদ থাকবে। সব ক্যাডার সার্ভিস থেকেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা এই সার্ভিসে আসতে পারবেন।
যেকোনো ক্যাডারের সিনিয়র স্কেলপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, যাঁদের কমপক্ষে ১০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা, তাঁরা পরীক্ষা দিয়ে উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব পদে প্রবেশ করতে পারবেন।
পরীক্ষায় দুইবার সুযোগ থাকবে। পরপর দুবার ব্যর্থ হলে আর সুযোগ মিলবে না।
এসইএসে ঢোকার পর জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হবে মেধাক্রমে।
এসইএসে একবার ঢোকার পর কেউ আর আগের সার্ভিসে ফিরতে পারবেন না।
বর্তমানে উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক প্রভাবিত। প্রশাসন ক্যাডার এই পদগুলোতে ১০০% নিয়ন্ত্রণ চায়, অন্যদিকে অন্যান্য ক্যাডার খোলা প্রতিযোগিতার দাবি তুলছে।
এসইএস বাস্তবায়ন হলে—
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সহকারী কমিশনার, উপজেলা কমিশনার, জেলা কমিশনার পদে থাকবেন।
জেলা কমিশনার পদ এসইএসের হলেও প্রশাসন ক্যাডারের জন্য সংরক্ষিত রাখার সুপারিশ রয়েছে।
তবে, এসইএস নয় এমন কর্মকর্তারা সমান মর্যাদা পাবেন না।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্দেশনায় আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শুরু হয়েছে:
স্বেচ্ছা অবসরের সুযোগ (১৫ বছর চাকরির পর পেনশনসহ)
বাংলাদেশ শিক্ষা সার্ভিস কমিশন গঠন
পাবলিক সার্ভিস কমিশন পুনর্গঠন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সাধারণ—তিন ভাগে ভাগের প্রস্তাব
ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে ন্যস্তের উদ্যোগ
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন
নিয়মিত পদোন্নতির নিশ্চয়তা।