1. talashnewsbd@gmail.com : www.talashnews.online www.talashnews.online : www.talashnews.online www.talashnews.online
  2. info@www.talashnews.online : দৈনিক তালাশ নিউজ :
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সুনামগঞ্জে সদর উপজেলা ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত দর্পণে দেখা আলোর আকুতি” প্রকাশনা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন  “মুজিববাদের রাজনীতি বাংলাদেশে চলবে না” — সুনামগঞ্জে পথসভায় নাহিদ ইসলাম মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান র্দূঘটনায় নিহত ও আহতের স্মরণে সুনামগঞ্জে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত।  শান্তিগঞ্জে লেগুনা-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ ২ জন নিহত আলজাজিরার অনুসন্ধান: শেখ হাসিনার শাসনের শেষ মুহূর্তে ভয়ংকর নির্দেশনার চিত্র ফাঁস অসুস্থতা বোধ করায় বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে ‘এক বছর নিবিড় পরিচর্যায় থাকবে বুলচান্দ’ — বললেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সংঘবদ্ধ ভাবে জলমহাল লুটপাট ঠেকাতে জেলা প্রশাসকের সহায়তা চাইলেন মৎস্যজীবীরা ।  অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরেও আরেকটা সরকার আছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য  ফ্যাসিবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ দেশের প্রধান চার রাজনৈতিক দল, সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একসাথে বৈঠক

ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫
  • ৫২০ বার পড়া হয়েছে

 নিজস্ব প্রতিবেদক :: 

সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য, দুর্ভোগে সাধারণ গ্রাহক

সুনামগঞ্জ জেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতি ও হয়রানির মুখে পড়ছেন সাধারণ গ্রাহকরা। বিদ্যুতের নতুন সংযোগ, স্থানান্তর কিংবা ঝড়ে নষ্ট হওয়া মিটার পরিবর্তনের মতো ন্যূনতম পরিষেবার জন্যও দিতে হচ্ছে ঘুষ। সরাসরি অফিসে গিয়েও কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না। অথচ তথাকথিত ইলেক্ট্রিশিয়ান বা দালালের মাধ্যমে কয়েকগুণ টাকা দিলে দ্রুত সমাধান মিলছে।

একটি সুনামধন্য গণমাধ্যমের সাক্ষ্যাতকারে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী শাহাব উদ্দিনের বক্তব্যে জানা যায় , অনলাইনে আবেদন করে মিটার পেয়েছিলেন। সাম্প্রতিক ঝড়ে মিটারটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অফিসে জমা দেন। তারপর একাধিকবার অফিসে গেলেও মিটার ফেরত পাননি,  জিজ্ঞেস করলে তারা ২ হাজার টাকা দাবি করে, টাকা ছাড়া কিচ্ছু হয় না।”

একই ধরনের অভিযোগ করছেন আরও অনেক ভুক্তভোগী। গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে একটি সক্রিয় “সিন্ডিকেট” কাজ করছে, যাদের সহযোগিতা ছাড়া সাধারণ গ্রাহকের জন্য কোনো কাজই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।

নিয়ম বদল, কিন্তু দুর্নীতি আগের মতোই

আগে বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রিশিয়ানের ‘ওয়ারিং রিপোর্ট’ জমা দিতে হতো। এই সুযোগে অনেক ইলেক্ট্রিশিয়ান প্রতিটি আবেদনের জন্য তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করতেন। নিয়ম পরিবর্তন করে এখন গ্রাউন্ডিং রডের মেমো নম্বর জমা দিলেই কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, নিয়ম পাল্টালেও দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট চক্রের দাপট আগের মতোই রয়ে গেছে।

নতুন সংযোগ স্থাপন থেকে শুরু করে স্থানান্তর কিংবা দুর্যোগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে পুনঃসংযোগ- সব ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের ভুগতে হচ্ছে। অনলাইনে আবেদন করে সরকারি ফি পরিশোধ করেও মিলছে না সময়মতো সেবা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সিন্ডিকেট চক্রের মূল কারিগর হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। অভিযোগের সত্যতা গণমাধ্যমের কাছে স্বীকারও করেছেন বিদ্যুৎ অফিসের বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার। তিনি জানান,

“সিন্ডিকেটের বিষয়ে আমরা জানি, তবে এটিকে ভাঙার ক্ষেত্রে আমরাও অনেকাংশে অসহায়।”

একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার কথা, সেখানে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের দাপটে সেবা পাওয়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাগ্যের ব্যাপার।

সরকারি ফি পরিশোধ করেও যদি ঘুষ না দিলে সেবা না মেলে, তাহলে সাধারণ জনগণের পক্ষে ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায় করা কীভাবে সম্ভব? এই প্রশ্নের জবাব চাইছে সুনামগঞ্জের জনগণ।

দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ না নেওয়া হলে এই চক্র আরও শক্তিশালী হবে, এবং গ্রাহকদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে- এমনটাই আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট