১৯ জুলাই (শনিবার) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের পার্শ্ববর্তী ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের সামনে পাটলাই নদীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন:
সাউথ ইস্ট ব্যাংকের সিলেট শাখার ম্যানেজার হাবিবুর রহমান
জগন্নাথপুর শাহজালাল কলেজের প্রভাষক আমিনুল হক সহ নাবিদ হাসান, সাকিন আহমদ, শামসুন্নাহার, শাসছিয়া, রেজুয়ান মিয়া এবং আরও অনেকে।
কীভাবে ঘটলো দুর্ঘটনা?
জানা গেছে, ঢাকা থেকে পরিচালিত পর্যটকবাহী দু’তলা বিশিষ্ট ‘ভ্রমণতরী’ নামের একটি হাউসবোট টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ শেষে সুনামগঞ্জের দিকে ফিরছিল। এ সময় টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে নিলাদ্রী লেকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ‘সোনিয়া জল পরিবহন’ নামের একটি ছোট নৌকার উপর হাউসবোটটি উঠে পড়ে। এতে ছোট বোটটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মাঝি কামালসহ পর্যটকরা আহত হন।
বেঁচে ফেরা পর্যটকের অভিজ্ঞতা:
আহতদের একজন, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান জানান, “আমরা ১৬ জনের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছিলাম। আমি নামাজে থাকাকালীন হাউসবোটটি আমাদের নৌকার উপর উঠে পড়ে। হঠাৎ দেখি আমার ভায়রাভাই দুই শিশুসহ পানিতে পড়ে গেছে। আমি ও আমার ড্রাইভার সঙ্গে সঙ্গে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে তাদের উদ্ধার করি। কিছুক্ষণ পর একটি স্পিডবোট এসে আমাদের সবাইকে উদ্ধার করে। আল্লাহর রহমতে প্রাণে বেঁচে গেছি, তবে আমাদের পাঁচটি মোবাইল ও দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা পানিতে পড়ে হারিয়ে যায়।”
পুলিশের বক্তব্য:
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “পর্যটকবাহী দুই নৌযানের সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। উভয় নৌকার মালিক পক্ষ থানায় রয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখছি এবং সমাধানের চেষ্টা করছি।”
টাঙ্গুয়ার হাওরের মতো জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় এমন দুর্ঘটনা পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত তদন্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।