ঢাকা প্রতিনিধি : আল আমিন
‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪’-এর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার বিকেলে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজধানীর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার মঞ্চে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করার জন্য যোগ দেন তিনি। তার ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন।
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হলো ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের একটি দলিল। যার মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল গুলোর মতামত নিয়ে এটি চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ড.ইউনূস বলেন, “এই আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক। বিজয়ী জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবেই এ ঘোষণাপত্র রচিত হয়েছে। এটি আগামীতে নির্বাচিত সরকারের প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধনের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতাকে প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশের জনগণ যুক্তিসঙ্গত সময়ে আয়োজিতব্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দায়িত্বশীল সংসদ গঠনের প্রত্যাশা করে। সেই সংসদ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে আইনের শাসন, মানবাধিকার, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত একটি ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেবে।”
বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের দাবি ও মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে ঘোষণাপত্রে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে—যেখানে থাকবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও নৈতিকতা-ভিত্তিক উন্নয়ন।