স্টাফ রিপোর্টার :: মোহাম্মদ নূর
সুনামগঞ্জে বুলবুল সংগীত নিকেতনের আয়োজনে “রবীন্দ্র – নজরুল স্মরণানুষ্ঠান” পালিত হয়েছে।
শুক্রবার ( ১ আগস্ট ) সন্ধ্যার পর সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
সঞ্জয় গোস্বামী ও সৌমিতা গোস্বামী নোহা’র যৌথ সঞ্চালনায় ও বুলবুল সংগীত নিকেতনের সভাপতি প্রীতি ভূষণ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী, অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, সংগীত পরিচালক বাংলাদেশ টেলিভিশন ও অধক্ষ্য ললিতকলা একাডেমীর এড.বিপ্রদাস ভট্টাচার্য।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উচ্চাঙ্গ সংগীত প্রশিক্ষক প্রদীপ কুমার চন্দ, বিশিষ্ট গীতি কবি সুভাষ উদ্দিন, সুন্দরম শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি শুল্কা রায় চৌধুরী, বিশিষ্ট তবলা শিল্পী ও সাংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব অঞ্জন চৌধুরী, লোকদল শিল্প গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বিধান চন্দ্র বনিক বাধন সহ আরো অনেক গুনিজন।
এছাড়া সংগীত অনুষ্ঠানে আরও অংশগ্রহণ করেন,লোকদল শিল্পী গষ্ঠী,কালচার ফোরাম, স্বরবিতন সংগীত নিকেতন, সারেগামা শিশু সংগঠন, বীনা সংগীত বিদ্যালয়,মনোরঞ্জন সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র।
এসময় বক্তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল তাঁদের লেখনির মধ্য দিয়ে চাষী-মজুরদের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। শ্রমজীবী মানুষের প্রতি অত্যাচার নিপীড়ন, শোষণে তাঁরা মর্মাহত হতেন। শ্রেণির বৈষম্যের অবসান কামনা করতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সাহিত্যকর্মের উৎস ও প্রেরণাস্থল এই সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ। অন্যদিকে নজরুলও বাংলাদেশের প্রকৃতি, মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় আকৃষ্ট হয়েছিলেন। আলোচনা সভা শেষে বুলবুল সংগীত নিকেতনের জাতীয় ও আঞ্চলিক ও কৃতি শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।