স্টাফ রিপোর্টার::
দিরাই ও শাল্লা উপজেলার জলমহালের লুটপাট ও অবৈধ “কোনা জাল” দিয়া পোনা মাছ নিধন ঠেকাতে জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত করলেন কয়েকটি সমিতি ও মৎস্যজীবীরা ।
বুধবার ( ২৩ জুলাই ) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি দরখাস্তে কয়েকটি সমিতি ও মৎস্যজীবীরা উল্লেখ করেন, দিরাই-শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের কিছু লোক ১০/১৫টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়া সরকার বাহাদুর কর্তৃক ইজারাকৃত জলমহালসমূহে (বিশেষ করে কালিয়া গোটা হাওরে) জলমহালের পাড়াহাদারদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করিয়া পাইল বিলের মাছ লুট করে একটি সংঘবন্ধ লুটেরাদল। সরকার বাহাদুর কতৃক ইজারাকৃত জলমহালে মাছ লুটপাট করিয়া মৎস্যজীবী সমিতির ক্ষতি সাধন করিয়া আসিতেছে।
এছাড়া অবৈধ “কোনা জাল” দিয়া পোন মাছ ধরিয়া মৎস্য সম্পদের ক্ষতি সাধন করিয়া আসিতেছে। সরকার বাহাদুর হইতে ইজারাকৃত জলমহালে জোড়ামুলে অবৈধভাবে মাছ ধরিয়া দিরাই-শাল্লা উপজেলার মৎস্যজীবী সমিতির গরিব সদস্যদের ক্ষতি সাধন করিতেছে। এই ধরনের লুটপাটের কারনে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যগন আর্থিক ক্ষতি সাধন হওয়ায় ও “কোনা জাল” দিয়ে নির্বাচার অবৈধ ভাবে পোনা মাছ ধরার কারনে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় অনেক মৎস্যজীবী সমিতি সরকারের পাওনা জলমহালের খাজনা পরিশোধে আগ্রহ বা ক্ষমতা হারিয়ে ফেলিতেছি। এই ধারা অব্যহত থাকিলে অদুর ভবিষ্যতে জলমহাল হইতে সরকার বাহাদুরের রাজস্ব পাওয়া কঠিন হবে। উল্লেখ্য যে, ১৪৩১ বাংলা সনের বর্ষা মৌসুমে দিরাই-শাল্লার অনেক জলমহালের ব্যাপক লুটপাট হইয়াছে এবং শুষ্ক মৌসুমে ও ইজারাকৃত জলমহাল সমূহে ব্যাপক লুটপাট হইয়াছে যার ফলে অনেক মৎস্যজীবী সমিতির কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে গেছে। খাজনা দেওয়া সহ বিল পরিচর্যায় সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। বিষয়ে উল্লেখিত লুটারোচক্রটি আশেপাশের ২/১ টা গ্রামের কিছু লোকজনকে তাদের দলভুক্ত করিয়া শক্তি বৃদ্ধি করিতেছে।
তড়িৎ অবৈধ ”কোনা জাল” দিয়া মাছ ধরা ও ইজারাপ্রাপ্ত জলমহালে মাছ লুটপাটের তৎপড়তা বন্ধ করার ব্যবস্থা না নিলে মিঠা পানির মাছ বিলুপ্ত হইতে পারে বা হইবে বলে দরখাস্তে উল্লেখ করেছেন সমিতির লোকজন ।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ডঃ মেহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া সমিতির লোকদেরকে আশ্বাস প্রদান করে বলেন, জলমহাল লোটপাট ও “কোনা জাল “দিয়া পোনা মাছ নিধন ঠেকাতে জেলা প্রশাসক আইনানুগ সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এসময় আরে উপস্থিত ছিলেন, মো: নজরুল ইসলাম, মহেন্দ্র চন্দ্র দাস, প্রণেশ বিশ্বাস, রাজেশ দাস, প্রজেস লাল দাস, বিকাশ রঞ্জন দাস, সুদীপ চন্দ্র দাস, সাদিকুর রহমান তালুকদার প্রমুখ।