স্টাফ রিপোর্টার::
গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)-এর পাঁচ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এবং দুজন বাগছাসের নেতৃস্থানীয় নেতা। উভয় সংগঠন থেকে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি শাম্মী আহমেদ-এর বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের থানায় নেওয়া হয়েছে এবং রবিবার দুপুরে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
ওসি আরও জানান, ১৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্তরা চাঁদা দাবি করে এবং সেই ঘটনার ভিডিও পুলিশের কাছে রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আটককৃতরা হলেন:
ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদাব, আমিনুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ।
সংগঠন থেকে বহিষ্কার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য সিয়াম ও সাদাব-কে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেন সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম।
নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু ও আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ৩.১ ধারা অনুসারে কেন্দ্রীয় সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্য সচিব জাহিদ আহসানের নির্দেশে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চাঁদাবাজির ভাইরাল ভিডিও
চাঁদা নেওয়ার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ১৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে এক ব্যক্তিগত বাসার গেস্ট রুমে দুই যুবক নগদ টাকা বুঝে নিচ্ছেন।